• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

LOkesh Rahul

খেলার দুনিয়া

মহসীনের দাপটে আবার জয় লখনউ–র, এগিয়ে গেল প্লে অফের দিকে

আবার জ্বলে উঠলেন মহসীন খান। ১৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নিলেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের ওপর ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ রানে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টস। একই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লোকেশ রাহুলের দল। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। দারুণ শুরু করেছিলেন কুইন্টন ডিকক ও রাহুল। ওপেনিং জুটিতে ৪.১ ওভারে ওঠে ৪২। এরপরই ধাক্কা। শার্দূল ঠাকুর এসে ডিকককে তুলে নেন। ১৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন ডিকক। এরপর দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের আর কোনও সুযোগ দেনন লোকেশ রাহুল ও দীপক হুডা। লখনউর এই দুই ব্যাটারই দারুণ ছন্দে রয়েছেন। বিশেষ করে লোকেশ রাহুলের কথা বলতেই হবে। রাহুল ও দীপক দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৯৫। জুটি ভাঙার জন্য সেই শার্দূল ঠাকুরকেই দায়িত্ব নিতে হয়। নিজের বলেই ক্যাচ ধরে দীপক হুডাকে ফেরান শার্দূল। ৩৪ বলে ৫২ রান করেন হুডা। হুডা আউট হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ৫১ বলে ৭৭ রান করে তিনি শেষ পর্যন্ত আউট হন। ১৬ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্কাস স্টয়নিস। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান তোলে লখনউ। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তিনটি উইকেটই নেন শার্দূল ঠাকুর। জয়ের জন্য সামনে ১৯৬ রানের লক্ষ্য। এই ধরণের লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। সেটাই করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। পৃথ্বী শর ব্যাটে ধারাবাহিকতার অভাব। এজিন মাত্র ৫ রান করে আউট হন। তাঁকে তুলে নেন দুষ্মন্ত চামিরা। ডেভিড ওয়ার্নারও এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৪ বলে ৩ রান করে মহসীন খানের বলে আয়ূশ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৩ ওভারের মধ্যে ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। মিচেল মার্শ পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। ২০ বলে ৩৭ রান করে তিনি কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে তিনি আউট হন। ঋষভ পন্থকে (৩০ বলে ৪৪) তুলে নেন মহসীন খান। ললিত যাদব (৩) রান পাননি। রভম্যান পাওয়েল ২১ বলে করেন ৩৫। তিনি মহসীন খানের শিকার। শার্দূল ঠাকুরকেও (১) তুলে নেন মহসীন। শেষ দিকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল (২৪ বলে অপরাজিত ৪২) ও কুলদীপ যাদব (৮ বলে অপরাজিত ১৬)। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৮৯/৭ তোলে দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন মহসীন খান।

মে ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যর্থ লোকেশ রাহুল, বড় রানে পৌঁছতে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টসও

প্লে অফের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটাররা। বলতে গেলে জ্বলে উঠতে দিলেন না কাগিসো রাবাডা। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের জন্যই প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ রানের বেশি তুলতে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টস। সর্বোচ্চ রান ওপেনার কুইন্টন ডিককের। তিনি করেন ৪৬। দুরন্ত ছন্দে থাকা লোকেশ রাহুল এদিন ব্যর্থ। টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শুরুটা ভাল হয়নি লখনউর। দুরন্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিন ব্যর্থ। তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাডার পঞ্চম বলে দলের ১৩ রানের মাথায় লোকেশ রাহুল। ১১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। এরপর দলেকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে লখনউ তোলে ৩৯/১। ৭.৪ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় লখনউর। দলকে ভালোই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। জুটিতে দুজনে মিলে তোলেন ৮৫ রান। ১২.৪ ওভারে জুটি ভাঙেন সন্দীপ শর্মা। তাঁর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডিকক। ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। দলের ১০৪ রানের মাথায় আউট হন দীপক হুডা। ১টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি ২৮ বলে ৩৪ রান করেন। এরপরই ধস নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস ইনিংসে। ১৫ তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া (৭) ও আয়ুষ বাদোনিকে (৪) ফেরান রাবাডা। পরের ওভারেই মার্কাস স্টইনিসকে (১) তুলে নেন রাহুল চাহার। নিজের বলেই তিনি ক্যাচ ধরেন। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে জেসন হোল্ডারকে (৮ বলে ১১) তুলে নেন চাহার। ১৯ তম ওভারে রাবাডার প্রথম দু বলে পরপর ছয় মেরে পরের বলেই আউট দুষ্মন্ত চামিরা। তিনি ১০ বলে করেন ১৭। এরপর লখনউ ১৫০ রানের গন্ডি পার হয় মহসীন খানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ১ করে চার ও ছয় মেরে ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মহসীন। ৪ ওভারে ৩৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন রাবাডা।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি লোকেশের, টানা হাফডজন হারে নজির মুম্বইয়ের

রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই শূন্য রানে বোল্ড হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। সেদিন মাঠে হাজির ছিলেন বান্ধবী আথিয়া শেট্টি ও হবু শ্বশুর সুনীল শেট্টি। হবু শ্বশুরের সামনে বেইজ্জত হতে হয়েছিল। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম মিম ছড়িয়ে পড়েছিল। ব্যাপারটা হয়তো ভালভাবে নিতে পারেননি লোকেশ রাহুল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দারুণভাবেই জ্বলে উঠলেন। তাঁর দুরন্ত শতরানের দাপটেই উড়ে গেল মুম্বই। ১৮ রানে জিতল লখনউ সুপার জায়ান্টস। টানা ৬ ম্যাচে হার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। চলতি আইপিএলে প্লে অফের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেল ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএলে এদিন শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। মাইলস্টোনের ম্যাচে রীতিমতো নজির গড়ে জেতালেন লোকেশ রাহুল। ৬০ বলে করলেন ১০৩। তাঁর আগে কোনও ক্রিকেটার আইপিএলের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়লেন লোকেশ রাহুল। এদিন আরও একটা নজির গড়েছেন তিনি। চলতি আইপিএলে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রীতিমতো মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। হারা মানেই প্লে অফের স্বপ্ন থেকে রীতিমতো দুরে সরে যাওয়া। ডু অর ডাই ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারলেন না রোহিতরা। রোহিত শর্মার দলকে ডোবাল দলের বোলিং। টাইমল মিলস, ফাবিয়ান অ্যালেন, জয়দেব উনাদকাত, মুরুগান অশ্বিনদের ছন্নছাড়া বোলিং কাজ সহজ করে দিয়েছিল লোকেশৃ্ রাহুলদের।টস জিতে এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ৫২ তোলেন লোকেশ ও কুইন্টন ডিকক। ফাবিয়ান অ্যালেনের বলে ডিকক (১৩ বলে ২৪) ফিরে যাওয়ার পর লোকেশের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান মণীশ পাণ্ডে। ২৯ বলে ৩৮ রান করে মুরুগান অশ্বিনের বলে বোল্ড হন মণীশ। লোকেশ রাহুলকে অবশ্য আটকানো যায়নি। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। লোকেশ রাহুলের ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার ও ৫টি ছয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ তোলে ১৯৯। দলকে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় এনে দেওয়ার জন্য রোহিত শর্মাকে জ্বলে উঠতে হত। তাঁকে সে সুযোগ দেননি আবেশ খান। তৃতীয় ওভারে আবেশের বল ব্যাটেরল কানায় লাগিয়ে ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত (৬)। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন বেবি এবি ডিওয়ালড ব্রেভিস। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আবেশের বলে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৬টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ৩১ রান করেন ব্রেভিস। পরের ওভারেই ঈশান কিশানকে (১৩) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন স্টয়নিস। এরপর মুম্বইকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। জুটি ওঠে ৬৪। পঞ্চদশ ওভারে তিলককে (২৬ বলে ২৬) তুলে নেন হোল্ডার। পরের ওভারেই সূর্যকুমারকে (২৭ বলে ৩৭) ফেরান রবি বিষ্ণোই। কায়রন পোলার্ড (১৪ বলে ২৫) চেষ্টা করেও মুম্বইকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৮১/৯ রানে থেমে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হবু শ্বশুরের সামনে বেইজ্জত!‌ ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই ওপেনার কে নিয়ে মিমের বন্যা

তুই এই ছেলেকে পছন্দ করেছিস? যে কিনা ব্যাট করতে পারে না। প্রথম বলেই শূন্য রানে বোল্ড হয়? মুম্বই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে রবিবার রাতে মেয়ে আথিয়াকে এই কথা গুলো কি আদৌও বলেছিলেন সুনীল শেট্টি? যদি বলে থাকেন অবাক হওয়ার কিছু নেই। রবিবার হবু শ্বশুরের সামনে বেইজ্জত লোকেশ রাহুল।সুনীল শেট্টির মেয়ে আথিয়া লোকশ রাহুলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন, একথা আর কারও অজানা নেই। রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালস লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ ছিল। লোকেশ রাহুল আবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। বাবা সুনীল শেট্টিকে নিয়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন আথিয়া। বয়ফ্রেন্ডের খেলা দেখাতে। আর হবু শ্বশুরের সামনে বেইজ্জত লোকেশ রাহুল। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই ছিটকে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়কের স্টাম্প। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই লোকেশ রাহুলের স্টাম্প ছিটকে যেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম ছড়িয়ে পড়ে মিম। নেটিজেনদের অনেকেই মজা করে বলতে শুরু করেন, প্রথম বলে আউট হওয়ার আর দিন পেলেন না লোকেশ রাহুল! বাবাকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন গালফ্রেন্ড। আর সেদিনই কিনা বেইজ্জত হল! সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা শুরু হয়। এক নেটিজেন লেখেন, আথিয়া ও সুনীল শেট্টি, মেয়েবাবা মিলে রাহুলকে দেখতে এলেন। আর ভাই, শূন্য রানেই আউট হয়ে গেলেন। অন্য এক নেটিজেন লেখেন, আথিয়া শেট্টির সামনে মানসম্মান ডুবিয়ে দিলেন লোকেস রাহুল। শ্বশুর সুনীল শেট্টি নতুন জামাই খুঁজতে বেরিয়ে গিয়েছেন। আর একজন সুনীল ও আথিয়ার ছবি পোস্ট করে লেখেন, আথিয়াকে সুুনীল বলছেন, এই তোমার বয়ফ্রেন্ড? রবিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। সেই রান তাড়া করতে নামেন রাহুল এবং কুইন্টন ডিকক। কিন্তু লখনউয়ের ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান রাহুল। ট্রেন্ট বোল্টের দক্ষতার কাছে হার মানেন। অফস্টাম্পের বাইরে পড়া বল শেষমুহূর্তে বল সুইং করে লোকেশ রাহুলের ব্যাট এবং প্যাডের মধ্যে দিয়ে স্টাম্পে আছড়ে পড়ে।

এপ্রিল ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌৭ উইকেটে বিধ্বস্ত ভারত, সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার, শেহবাগের রেকর্ড স্পর্শ কোহলির

টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে থেকে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিনের সিরিজে ভারতকে কোনও সুযোগই দিল না। প্রথম একদিনের ম্যাচে ৩১ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে একম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজ হারের মধুর প্রতিশোধ নিল প্রোটিয়ারা।পার্লের বোল্যান্ড পার্কে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে টস ভাগ্য অবশ্য সহায় হয়েছিল লোকেশ রাহুলের। আগের ম্যাচে পরে ব্যাট করতে গিয়ে মন্থর উইকেটে সমস্যা হয়েছিল। সেকথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। ভাল শুরু করেছিলেন ভারতীয় দলের দুই ওপেনার রাহুল ও শিখর ধাওয়ান। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬৩। এরপরই ছন্দপতন। ৩৮ বলে ২৯ রান করে এইডেন মার্করামের বলে আউট হন শিখর ধাওয়ান। পরের ওভারেই বিরাট কোহলিকে (০) তুলে নেন কেশব মহারাজ। ভারত হারলেও এদিন বীরেন্দ্র শেহবাগের রেকর্ড স্পর্শ করলেন বিরাট কোহলি। বীরেন্দ্র শেহবাগ ৩৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩১ বার শূন্যে আউট হয়েছিলেন। বিরাট কোহলি নিজের ৪৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে শেহবাগের সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন। শেহবাগ টেস্টে ১৬ বার, একদিনের আন্তর্জাতিকে ১৪ বার এবং টি ২০ আন্তর্জাতিকে একবার শূন্যে আউট হয়েছেন। ফলে বিরাট এদিন একদিনের আন্তর্জাতিকে শেহবাগের ১৪ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির স্পর্শ করলেন।এক ওভারের ব্যবধানে পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থের চওড়া ব্যাট ভারতকে চাপ থেকে বার করে নিয়ে আসে। জুটিতে ওঠে ১১৫ রান। জুটি ভাঙেন সিসান্দা মাগালা। তুলে নেন লোকেশ রাহুলকে। ৭৯ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রাহুল। পরের ওভারেই তাবরেজ সামসির বলে আউট হন ঋষভ পন্থ। ৭১ বলে তিনি করে ৮৫। এটাই ঋষভের একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান। পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে যায় ভারত রান তোলার গতিও কমে যায়। এর মাঝেই ৩৬.৫ ওভারের মাথায় আউট হন শ্রেয়স আয়ার (১১)। ভারতের রান তখন ২০৭/৫। ভেঙ্কটেশ আয়ার ৩৩ বলে ২২ রান করে আউট হন। শার্দূল ঠাকুর (৩৮ বলে অপরাজিত ৪০) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (২৪ বলে অপরাজিত ২৫) সৌজন্যে ৫০ ওভারে ২৮৭/৬ রানে পৌঁছয় ভারত। তাবরেজ সামসি ৯ ওভারে ৫৭ রানে ২টি, কেশব মহারাজ ৯ ওভারে ৫২ রানে ১টি, এইডেন মার্করাম ৮ ওভারে ৩৪ রানে ১টি, সিসান্ডা মাগালা ৮ ওভারে ৬৪ রানে ১টি, ফেলুকায়ো ৮ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।জয়ের জন্য ২৮৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডিকক। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এদিন ভারতীয় বোলারদের কোনও সুযোগই দেননি। যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমারদের ওপর চূড়ান্ত দাপট দেখিয়ে ওপেনিং জুটিতে মালান ও ডিকক তোলেন ১৩২। শার্দূল ঠাকুর এসে জুটি ভাঙেন। তুলে নেন ডিকককে। ৬৬ বলে ৭৮ রান করে আউট হন ডিকক। ডিকক ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জানেমান মালামনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। দলের ২১২ রানের মাথায় যশপ্রীত বুমরার বল ব্যাটের ভিতরের দিকে কানায় লাগিয়ে আউট হন জানেমান মালান। ১০৮ বলে ৯১ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই যুজবেন্দ্র চাহালের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাভুমা (৩৬ বলে ৩৫)। উইকেটে জমে যাওয়া দুই ব্যাটারকে পরপর দুওভারে তুলে নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলতে পারেনি ভারত। ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম (৪১ বলে অপরাজিত ৩৭) ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (৩৮ বলে অপরাজিত ৩৭)। ৪৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে যশপ্রীত বুমরা, যুজবেন্দ্র চাহাল ও শার্দূল ঠাকুর ১টি করে উইকেট নেন।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌কার ওপর নির্ভর করছে সিরিজে ভারতের সমতা ফেরানোর ভাগ্য?‌

টেস্ট সিরিজের পর একদিনের সিরিজেও কি হারতে হবে ভারতকে? পার্লের বোল্যান্ড পার্কে প্রথম ম্যাচে হারে সেই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছে ভারতীয় দলের সামনে। সিরিজ বাঁচাতে গেলে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া রাস্তা নেই লোকেশ রাহুলদের। সমতা ফরানোর জন্য ব্যাটারদের দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজয় ভারতীয় দলকে নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেছে। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল পর্যন্ত প্রথম ম্যাচের পর মেনে নিয়েছেন ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্যই ডুবতে হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার তেম্বা বাভুমা ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন মিডল অর্ডারে যেরকম বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন, ভারতীয় দলের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে সেরকম বড় কোনও পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর ধস নামে ভারতীয় শিবিরে। সব থেকে বড় কথা, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ২ বছরেও বেশি সময় অতিক্রান্ত, এখনও চার নম্বর জায়গায় উপযুক্ত ব্যাটার খুঁজে পেল না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ঋষভ পন্থকে খেলানো হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ।প্রশ্ন উঠেছে প্রথম ম্যাচে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েও। হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে অলরাউন্ডার হিসেবে ভেঙ্কটেশ আয়ারকে দলে নেওয়া হয়েছে। অথচ প্রথম ম্যাচে তাঁকে ১ ওভারও বল দেওয়া হয়নি। বুমরা, অশ্বিনরা যখন বাভুমাডুসেনের জুটি ভাঙতে পারছিলেন না, তখন ভেঙ্কটেশকে দেখে নিতেই পারতেন লোকেশ রাহুল। মাঠের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও ইতিবাচক ছিল না। তার ওপর পরের দিকে উইকেট মন্থর হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় ব্যাটারদের শট খেলতেও অসুবিধা হয়েছে। সিরিজে সমতা ফেরাতে গেলে ব্যাটারদের যেমন দায়িত্ব নিতে হবে, জ্বলে উঠতে হবে বোলারদেরও। বিশেষ করে দুই স্পিনারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বোলিং বিভাগে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও ব্যাটিং অর্ডারে বদল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যকুমার যাদবকে প্রথম একাদশে খেলানোর ভাবনা টিম ম্যানেজমেন্টের। একটা ম্যাচে ব্যর্থ বলে ভেঙ্কটেশ আয়ারকেও আবার বসানোর পক্ষপাতি নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সব মিলিয়ে প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। তবে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে ভারতীয় ব্যাটারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতেই হবে। পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে লোকেশ রাহুলকেও।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

একদিনের সিরিজে নামছে ভারত, ৭ বছর পর শুধুই ব্যাটার‌ কোহলি

কদিন আগেই লাল বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরাট কোহলি। তার আগেই অবশ্য একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। দীর্ঘ ৭ বছর পর আবার নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড ছাড়াই মাঠে নামবেন কোহলি, সাধারণ ব্যাটার হিসেবে। নেতৃত্বের চাপমুক্ত হয়ে কোহলি কতটা জ্বলে উঠতে পারেন, সেদিকেই তাকিয়ে আপামর ক্রিকেটপ্রেমী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে শুধু কোহলির দিকেই নয়, ক্রিকেট প্রেমীদের নজর লোকেশ রাহুলের দিকেও। চোটের জন্য রোহিত শর্মা ছিটকে যাওয়ায় নেতৃত্বের দায়িত্ব লোকেশ রাহুলের কাঁধে। অনেকেই ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে তাঁকেই দেখতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ রাহুলের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। তাঁর নেতৃত্বের দিকে নজর থাকবে সকলেরই। কোহলির কাছ থেকে কতটা সাহায্য পান সেটাও দেখার। লোকেশ রাহুলেন কাছে যেমন নেতৃত্বের অগ্লিপরীক্ষা, তেমনি ব্যাটার হিসেবে পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে শিখর ধাওয়ানকেও। দীর্ঘিদন ব্যাটে রান নেই ভারতীয় দলের এই ওপেনারের। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় জায়গা নেওয়ার জন্য তৈরি। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে রান না পেলে দলে জায়গা ধরে রাখাই কঠিন হয়ে যাবে শিখর ধাওয়ানের কাছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের লক্ষ্যে এখন থেকেই দল তৈরি করে নেওয়াই লক্ষ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। শক্তির বিচারে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে ভারত। রোহিত শর্মা না থাকায় লোকেশ রাহুল ওপেন করবেন। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ইঙ্গিতও দিয়ে গেছেন ভারতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ। তিনি বলেন, দলের প্রয়োজনে ৪৫ নম্বরেও ব্যাটিং করেছি। কিন্তু এই সিরিজে রোহিত নেই। তাই ওপেন করব। পুরো সিরিজের কথা না ভেবে আপাতত এক একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চান লোকেশ রাহুল। মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলির মতো অধিনায়কদের অধীনে খেলেছেন। তাঁদের কাছে যা শিখেছেন, সেটাই কাজে লাগাতে চান। পার্লের বোল্যান্ড পার্কের উইকেটে স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারেন। তাই দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা ভারতীয় শিবিরের। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে যুজবেন্দ্র চাহাল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলে সুযোগ পাননি হার্দিক পান্ডিয়া। অলরাউন্ডার হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে ভেঙ্কটেশ আয়ারের। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করবেন শিখর ধাওয়ান। তিনে বিরাট কোহলি, চারে সূর্যকুমার যাদব, পাঁচে ঋষভ পন্থ। তিন জোরে বোলার দীপক চাহার, শার্দূল ঠাকুর কিংবা ভুমনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরা।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

India vs South Africa Test : কোহলির না থাকার ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ ভারত, দ্বিতীয় টেস্টে কেন ব্যাটিং বিপর্যয়?‌

ওয়ান্ডারার্সে ইতিহাসের হাতছানি ভারতীয় দলের সামনে। দ্বিতীয় টেস্ট জিতলেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাবে। অথচ এইরকম গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে চোটের জন্য ছিটকে গেলেন বিরাট কোহলি? যতই ফর্মে না থাকুন, কোহলির খেলা আর না খেলার মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য রয়েছে। যেটা প্রমাণ হয়ে গেল জোহানেসবার্গে। ওয়ান্ডারার্সে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের। ৬৩.১ ওভারে গুটিয়ে গেল মাত্র ২০২ রানে। সর্বোচ্চ রান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের।জোহানেসবার্গের উইকেট বরাবরই জোরে বোলারদের সহায়ক। যার ফায়দা তুলে নিলেন ডোয়েন অলিভিয়ের, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাডারা। যদিও উইকেট দেখে শুরুর দিকে কিছুটা ফ্ল্যাট মনে হয়েছিল। টসে জিতে লোকেশ রাহুল ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভাল শুরু করেছিলেন ভারতীয় দলের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৩৬। পঞ্চদশ ওভারের প্রথম বলেই মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (২৬) তুলে নেন মার্কো জানসেন। ক্রিজে নেমে সতর্কভাবে ব্যাট করছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। মাথার ওপর বাদ যাওয়ার খাঁড়া ঝুলছে। চাপ নিতে পারলেন না। ডোয়েন অলিভিয়েরের বলে বাভুমার হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন পুজারা (৩)। পরের বলেই খোঁচা দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথে অজিঙ্ক রাহানে (০)। নিজেদের টেস্ট কেরিয়ার বাঁচাতে আর মাত্র একটা ইনিংস সুযোগ পাবেন ভারতীয় দলের এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার।বিরাট কোহলি চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ পেয়েছেন হনুমা বিহারী। কারণ শ্রেয়স আয়ারও অসুস্থ। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বিহারী। ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় একবার জীবন পেয়ে ৫৩ বলে ২০ রান করে রাবাডার বলে আউট হন। ঋষভ পন্থ ১৭ রান করে মার্কো জানসেনের ভেতরে ঢুকে আসা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।নেতৃত্বের ব্যাটন দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দিয়েছিল লোকেশ রাহুলের। শুরু থেকেই সতর্কভাবে ব্যাট করে দলকে টানছিলেন। অর্ধশতরান পূরণ করার পর মনসংযোগ হারান। মার্কো জানসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে কাগিসো রাবাডার হাতে ধরা পড়েন। ১৩৩ বলে ৫০ রান করেন লোকেশ রাহুল। লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পরই ভারতের বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। পরের দিকে সঙ্গী পাবেন না ভাবেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫০ বলে ৪৬)। তাঁর ও যশপ্রীত বুমরার (অপরাজিত ১৪) সৌজন্যে ২০০ রানের গন্ডি পার হয় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মার্কো জানসেন ৩১ রানে ৪টি, কাগিসো রাবাডা ও ডোয়েন অলিভিয়ের ৬৪ রানে ৪টি করে উইকেট পান।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

India Cricket : কোহলির সহকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হল লোকেশ রাহুলকে, সেঞ্চুরিয়ানে কোথায় রয়েছে ভারতীয় দল?‌

রোহিত শর্মা টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন লোকেশ রাহুল। প্রত্যাশামতোই তাঁকে বিরাট কোহলির সহকারি হিসেবে বেছে নিলেন নির্বাচকরা। শনিবার সহকারী কোচ হিসেবে লোকেশ রাহুলের নাম ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁকেই যে ভবিষ্যতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ভাবতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, এই সিদ্ধান্তে পরিস্কার।টেস্ট দল ঘোষণার সময় অজিঙ্ক রাহানেকে সরিয়ে সহ অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল রোহিত শর্মাকে। মুম্বইয়ে অনুশীলনের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ছিটকে যান তিনি। তখন থেকেই আলোচনা চলছিল, রোহিতের পরিবর্তে কাকে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। রোহিতের পরিবর্ত হিসেবে গুজরাটের ওপেনার প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালকে দলে নেওয়া হলেও বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় সহ অধিনায়কের নাম পরে ঘোষণা করা হবে। সেই মতো শনিবার লোকেশ রাহুলের নাম ঘোষণা করা হল। এই মুহূর্তে রোহিত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করছেন। চোট পাওয়া আর এক ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজাও রোহিতের সঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন।নির্বাচকরা আশা করছেন টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেও একদিনের সিরিজের আগে ফিট হয়ে যাবেন রোহিত। আর রোহিত যদি একান্তই ফিট না হতে পারেন, সেক্ষেত্রে বিকল্পও ভেবে রেখেছেন নির্বাচকরা। লোকেশ রাহুলকে একদিনের সিরিজের অধিনায়ক করা হবে। এই মুহূর্তে তিনি নিজেকে তিন ধরণের ফরম্যাটে অপরিহার্য প্রমাণ করেছেন। ইংল্যান্ড সফরে চোটের জন্য মায়াঙ্ক আগরওয়াল ছিটকে যাওয়ায় প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন লোকেশ রাহুল। সুযোগ পেয়েই নিজেকে অপরিহার্য প্রতিপন্ন করেছেন।এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। শনিবার সেঞ্চুরিয়ানে ফুটভলি খেলেন বিরাট কোহলিরা। মুম্বইয়ে ৩ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যায় ভারতীয় দল। সেঞ্চুরিয়ানে পৌঁছে একদিনের আইসোলেশনে ছিলেন কোহলিরা। তারপর অনুশীলনে নেমে পড়লেন। করোনা আতঙ্কের জন্য ভারতীয় দলকে পাঁচতারা হোটেলের পরিবর্তে রিসর্টে রাখা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Lokesh Rahul : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিরাট কোহলির ডেপুটি কে? এগিয়ে এই ক্রিকেটার

অজিঙ্ক রাহানের হাতেই কি ফিরিয়ে দেওয়া হবে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়কের দায়িত্ব? না, বিরাট কোহলির ডেপুটি হিসেবে নতুন কাউকে বেছে নেওয়া হবে? দ্বিতীয় পথেই হাঁটতে চলেছেন ভারতীয় দলের নির্বাচকরা। রোহিত শর্মার পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে লোকেশ রাহুলের হাতেই দায়িত্ব দিতে চলেছে চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য অজিঙ্ক রাহানেকে সরিয়ে কদিন আগেই রোহিত শর্মার হাতে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। টেস্ট সিরিজের জন্য মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রস্তুতি সারছিলেন রোহিত। অনুশীলন করার সময় বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান ভারতীয় দলের এই ওপেনার। টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে যান। তাঁর পরিবর্তে ওপেনার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে গুজরাটের প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালকে। প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালকে দলে নেওয়া হলেও সহ অধিনায়ক কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অজিঙ্ক রাহানের হাতে আবার সহ অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়ে পেছনে ফিরে তাকাতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দলে সিনিয়র হিসেবে রয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। যেরকম ফর্মে রয়েছেন, তাতে প্রথম একাদশে জায়গা নিশ্চিত নয় পুজারার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কোনও পর্যায়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে যশপ্রীত বুমরার হাতে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিতে চান না নির্বাচকরা। যোগ্যতার নিরিখে লোকেশ রাহুল এগিয়ে। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথম একাদশেও তাঁর জায়গা নিশ্চিত। তাই সবদিক দিয়ে লোকেশ রাহুলকেই বেছে নিতে চলেছেন নির্বাচকরা।বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার আগে মুম্বইয়ে ২দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম টেস্ট শুরু। ভারতীয় দল সেঞ্চুরিয়ানে পৌঁছনোর পর সহ অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। ভবিষতের নেতা হিসেবে লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থদের তৈরি করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ঋষভ পন্থের তুলনায় লোকেশ রাহুল বেশি অভিজ্ঞ হওয়ায় তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Lokesh Rahul : কেন জরিমানার কবলে পড়তে হল লোকেশ রাহুলকে?‌

লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরি জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল ভারতের। চলতি সিরিজে বলতে গেলে তিনিই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম মুখ। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। ব্যক্তিগত ৪৬ রানের মাথায় জেমস অ্যান্ডারসনের বলে আউট হতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন লোকেশ রাহুল। আম্পায়ারের অসন্তোষ প্রকাশ করে আর্থিক জরিমানার কবলে পড়েছেন ভারতীয় দলের এই ওপেনার। ওভালে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারে বোলিং করছিলেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন। ওভারের শেষ বলে পরাস্ত হন লোকেশ রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানান ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। অনফিল্ড আম্পায়ার আবেদন নাকচ করে দেন। তখন ডিআরএসের আশ্রয় নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে অনফিল্ড আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদলের পরামর্শস দেন। রিপ্লেতে একটা শব্দ শুনে টিভি আম্পায়ার মনে করেছিলেন অ্যান্ডারসনের বল লোকেশ রাহুলের ব্যাট স্পর্শ করে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে পৌঁছেছে। ফলে রাহুলকে আউট দেওয়ার পরামর্শ দেন। আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি লোকেশ রাহুল। মাথা নাড়তে নাড়তে তিনি সাজঘরে ফেরেন। রাহুলের দাবি বল তাঁর ব্যাটে নয়, ব্যাট তাঁর প্যাডে লাগায় আওয়াজ হয়েছে।আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করা লোকেশ রাহুল আইসিসির কোড অফ কনডাক্টের ২.৮ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। ভারতীয় এই ওপেনারের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। রাহুলের শৃঙ্খলার রেকর্ডে একটা ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। ম্যাচের অনফিল্ড আম্পায়ার অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, রিচার্ড ইলিংওর্থ, তৃতীয় আম্পায়ার মাইকেল গফ ও ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত রাহুল মেনে নিয়েছেন। ওভাল টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন এই ভারতীয় ওপেনার। ডিআরএস সিদ্ধান্তে লোকেশ রাহুল যখন আউট হন, তিনি হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দুরে। ১০১ বল খেলে তিনি এই রান করেন। দারুণ ব্যাট করছিলেন। বড় রানের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ফিরে যেতে হয়। ওভালে ভারত ও ইংল্যান্ডের চতুর্থ টেস্টে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এর মধ্যেই লোকেশ রাহুলের শাস্তি পরিবেশ কিছুটা হলেও গম্ভীর করেছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জরিমানার কবলে পড়তে হল।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal